Description
কুইকফস গ্যাস ট্যাবলেট গুদামজাত শস্যে ব্যবহার্য কীটনাশক, এতে ৫৭% এ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড আছে।
এটি বাতাসের সংস্পর্শে এলেই এ থেকে ফসফিন গ্যাস নির্গত হয়, যা গুদমজাত কৃষি পণ্যের ক্ষতিকারক সব পোকা মেরে ফেলে।
প্রয়োগক্ষেত্র ও মাত্রাঃ মানুষ ও গৃহপালিত পশুপাখি বসবাসের স্থানে প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন, এটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে ।
ফসল | পোকার নাম | প্রয়োগমাত্রা |
গম/ ধান/ চাল | চালের কেড়ি পোকা (s.oryzae)চালের মথ (T.Castaneus)ময়দার লাল পোকা (R. dominica) | প্রতি টনে ৪ টি ট্যাবলেট |
বিভিন্ন ফসলের জমিতে | ইঁদুর বা অন্যান্য পোকামাকড়ের গর্তে | ১ টি করে ট্যাবলেট দিয়ে গর্তের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে |
স্তুপাকার কৃষি পন্যে : প্রতি টন গম/ ধান/ চালে ৪ টি ট্যাবলেট বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে বায়ু শূন্য করে নিচ্ছিদ্র অবস্থায় ত্রিপল অথবা মোটা পলিথিন দিয়ে বন্ধ করুন যাতে বায়ু চলাচল করতে না পারে।
গুদম ঘর : বায়ু রুদ্ধ গুদাম ঘরে গম/ ধান/ চালে ৪ টি ট্যাবলেট হারে দিয়ে দ্রুত দরজা বন্ধ করুন। গুদম ঘর বায়ু রদ্ধ না হলে স্তুপাকৃত গম/ধান/চাল ত্রিপল অথবা মোটা পলিথিন দিয়ে ঢেকে ট্যাবলেটগুলো গম/ ধান /চালের পাশে রেখে ত্রিপল বা পলিথিন চারপাশ মুড়ে নিচ্ছিদ্র করে ঢাকুন।
সতকর্তা: কণা বা ধোঁয়া নি:শ্বাষের সাথে গ্রহন করবেন না। না। ব্যবহারে সময় নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করুন। কোন কিছু খাবেন না বা ধুমপান করবেন না। সবসময় খোলা জায়গায় এর কৌটা খুলবেন। ট্যাবলেট রাখার জায়গাতে সাবধানতা অবলম্বন করে নোটিশ দিন। কষি পণ্যের তাপমাত্রা ৫°সে. গ্রে (৪০° ফারেনহাইট) নীচে হলে কখনোই ট্যাবলেট দিবেন না।
প্রতিটি কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, আগাছানাশক পিজিআর বা অনুখাদ্য প্রয়োগের পূর্বে প্যাকেটের গায়ে বর্ণিত নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নেবেন। অন্যথায় কোন ক্ষতি হলে শপ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। ব্যবহার পূর্বে চোখে চশমা ও গায়ে বস্ত্র পরিধান করুন। মুখে দেবেন না, গন্ধ নেবেন না। বাতাসের বিপরীতে স্প্রে করবেন না। স্প্রে করার পরে হাত, পা, মুখ ও কাপড় চোপড় সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। শিশুদের নাগালের বাইরে, খাদ্য, পশুখাদ্য ও পানীয় দূরে রাখুন। জমিতে স্প্রে করার পর গরু, ছাগল, হাস-মুরগী ক্ষেত্রে ঢুকতে দেবেন না। ব্যবহারের পর খালি প্যাকেট মাটিতে পুঁতে ফেলুন অথবা আগুনে পুড়িয়ে ফেলুন।
বিষক্রিয়ার লক্ষন: মাথা ব্যাথা, বমি, কানে তালা ধরা, শ্বাসকষ্ট, পেট ব্যাথা। উল্লেখিত প্রতিক্রিয়ার লক্ষণের বেশী মাত্রার উপসর্গ হলো শুকনো কাশি, পৌ খারাপ, অত্যাধিক তৃষ্ণা বোধ, অত্যন্ত ঘাম এবং খিচুনি। অল্প মাত্রার প্রতিক্রিয়ার রোগী ১-২ ঘন্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তবে প্রতিক্রিয়ার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ঘটার সম্ভাবনা নেই।
প্রতিষেধক: (১) যদি নিঃশ্বাসের সঙ্গে ভিতরে চলে যায়, তাহলে অবিলম্বে যথেষ্ট অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। ব্রংকোডায়ালেটর এবং ডিকনজেস্ট্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। ৫০-১০০ সি.সি. ৭৫% সোডিয়াম বাইকার্বোনেট ইন্ট্রাভেনাস ইনজেকশন ধীরে দিয়ে বা বাইলস টিউব দিয়ে খাইয়ে প্রসাবের ক্ষার বজায় বাখুন।
(২) যদি পেটে চলে যায়, তাহলে কপার সালফেট দ্রবন ০.২% খাইয়ে বমি করান, সেই সঙ্গে অদ্রাব্য কিউপ্রিক ফসফাইডের উৎপন্ন হয় এবং এটা দূর করতে ১:৫০০০ পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবন দিয়ে পেট পরিষ্কার করান। এক আউল মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া বা ২/৩ টি ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে খাওয়াতে পারেন। চর্বি বা তেলজাতীয় কিছু খেতে দেবেন না।
Reviews
There are no reviews yet.